প্রেম নারী ও পুরুষের দেহ মনের চাওয়া পাওয়ার সম্পর্ক! যেখানে নিজেদের কামনা বাসনা বা স্বার্থপরতা থাকে। প্রেম আসলে স্বার্থপরতার অন্য রূপ! প্রেমে স্বার্থপরতার সাথে সমঝোতা করে সম্পর্ক টিকে থাকে। যত দিন স্বার্থ থাকবে, ততো দিন প্রেম থাকবে। তাই প্রেম সম্পর্কের বন্ধনকে শক্ত করে না। আর বন্ধুত্ব যে কোন লিঙ্গের ও বয়সের পারস্পারিক অনুভব, সহানুভূতি ও সহমর্মিতার বন্ধন। যেখানে একে অন্যের ভাল কামনা ছাড়া কারও কোন চাওয়া পাওয়া থাকে না। তাই বন্ধুত্বই সম্পর্কের বন্ধনকে দৃঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী করে! বন্ধুত্বের রূপ কখনই পরিবর্তন হয় না কিন্তু প্রেম ক্ষণে ক্ষণে রুপ বদলায় এবং জীবনকে জটিল করে।
পরিবার, ধর্ম বা সমাজের নিষিদ্ধ সম্পর্ক হলো প্রেম। আপনি কারো প্রেমে পড়েছেন, তো মরেছেন। আপনার সুন্দর সাজানো গোছানো জীবনে জটিলতা চলে আসবে। পরিবার ও সমাজ এ সম্পর্কের কথা জানলে, আপনাকে ছিঃ ছিঃ ধিক্কার দেবে। প্রেম আপনার স্বাভাবিক জীবনে নেতিবাচক ছাড়া কোন ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। এখন সিদ্ধান্ত আপনার, সরল জীবন যাপন করবেন না প্রেমের জটিল সমীকরণ বেছে নেবেন। বর্তমানে অধিকাংশ প্রেমের সম্পর্কে বিশ্বাস ও আস্থার ভিত মজবুত নই। তাই সব সময় পারস্পারিক সন্দেহ, খ্যাঁচ খ্যাঁচ এবং অবিশ্বাস লেগে থাকে। এতে করে সম্পর্কে ঘুণ ধরে, সম্পর্ক নষ্ট হয় এবং দেহ মন বিধ্বস্ত হয়।
অপর দিকে বন্ধুত্বের কথা ভাবুন, সেখানে নেই কোন চাওয়া পাওয়ার দ্বন্দ। তাই বন্ধুত্বে অবিশ্বাস, সন্দেহ ও স্বার্থপরতার কোন প্রশ্ন আসে না। বন্ধুত্বে পারস্পারিক সহানুভূতি ও সমবেদনার বৈশিষ্ট সব চেয়ে বেশী দেখা যায়। এই কারণে একজন বন্ধুকে সার্বিক সাহায্যের জন্য অন্য বন্ধু সদা তৎপর থাকে। একজন বন্ধুর অপর বন্ধুকে সাহায্য করা যে মনোভাব তা সম্পর্কের ভিতকে মজবুত করে। এ ধরণের মনোভাব কিন্তু প্রেম বা ভালোবাসাতে দেখা যায় না। এক বন্ধুর জন্য অপর বন্ধুর মারাত্মক এবং মৃত্যু ঝুকি নেয়ার হাজার নজির জগতে আছে। এমন কি মানুষের জন্য প্রাণীর মধ্যেও বন্ধুত্বের অনুপম নিদর্শন খুঁজে পাওয়া যায়।
বন্ধুত্বের মাঝে সামগ্রিক চাওয়া পাওয়ার কোন বিষয় জড়িত থাকে না। এই কারণে বন্ধুত্ব জীবনকে সহজ ও সাবলীল করে। এক বন্ধুর হৃদয়ে যে অনুভূতি তার সব টুকু জুড়ে থাকে অপর বন্ধুর জন্য সমবেদনা ও মঙ্গল কামনা। এ কারণে বন্ধুত্বে স্বার্থ জনিত চাওয়া পাওয়া না থাকায় সম্পর্কের ভিত মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হয়।