অপ্রিয় কথা, তোমায় নিজের জীবনের চেয়ে বেশী ভালোবাসি!

অপ্রিয় কথা, তোমায় নিজের জীবনের চেয়ে বেশী ভালোবাসি!

অপ্রিয় কথা, তোমায় নিজের জীবনের চেয়ে বেশী ভালোবাসি। একই সাথে এটি ডাহা মিথ্যা কথা। প্রেমিক প্রেমিকার ভালোবাসার ক্ষেত্রে অনেকেই ফালতু আবেগের বশে এমন কথা বলে। যা পরবর্তীতে, মিথ্যা প্রমাণিত হয়। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, আমরা সবাই একে অপরকে মিথ্যা প্রলোভন এবং ছল চাতুরি দিয়ে প্রভাবিত করি। অথবা ভুলিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করি। লাগামহীন ও ভিত্তিহীন আবেগের বশে আমরা প্রায়ই, এমন মিথ্যা বলে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করি। আসলে এ পৃথিবীতে আমাদের, নিজের জীবনের চাইতে বেশী ভালোবাসেন এক মাত্র, মা। তার পর এমন ভালোবাসেন বাবা। অন্যরা যে যতই বলুক না কেন। কেউ আপনাকে তার নিজের জীবনের চাইতে বেশী ভালোবাসে না।

অপ্রিয় কথা, তোমায় নিজের জীবনের চেয়ে বেশী ভালোবাসি!

অনেকে হয়তো ভালোবাসার কারণে মৃত্যু ঝুঁকি নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সেটা এক ধরণের আবেগ, ভালোবাসা নই। শুনতে অপ্রিয় লাগলেও, এই আবেগ জাতীয় বেগটা পুরুষের চাইতে নারীই বেশী প্রকাশ করে থাকে। তার কিছু কিছু সুনির্দিষ্ট কারণও আছে। বর্তমানের প্রেম ভালোবাসা কোন এক অজানা কারণে তার স্বর্গীয় বৈশিষ্ট হারিয়ে নোংরামীত পরিণত হয়েছে। এখন যত ধরণের ভালোবাসা দেখবেন। সে সব ভালোবাসায় সবাই মনের আগেই দৈহিক কামনা বাসনা পূরণ করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

অপ্রিয় কথা, তোমায় নিজের জীবনের চেয়ে বেশী ভালোবাসি!

ধরি, বর্তমান কালে ভালোবাসার কারণে দুটি ছেলে মেয়ে মনের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। এ ক্ষেত্রে তারা একটু সুযোগ পেলেই পরস্পর খুবই নিবিড় হবার চেষ্টা করবে। অপ্রিয় হলেও সত্য, ছেলেটি সুযোগ বুঝে মেয়েটির সাথে আপত্তিকর সম্পর্ক করবে। এ ক্ষেত্রে তারা উভয়ই উগ্রকামী। পরে মেয়েটি এক সময় তার ক্ষতি বা চরম সর্বনাশ বুঝতে পারবে। নানা বাহানায় বলবে, তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না। তোমাকে আমি নিজের জীবনের চেয়ে বেশী ভালোবাসি। তোমাকে না পেলে আমি কিন্তু মরে যাবো ইত্যাদি ইত্যাদি।

আগে কোন এক কালে ইতিহাসের লাইলী-মজনু, শিরি ফরহাদের যুগে হয়তো এমন ভালোবাসা ছিল কিন্তু বর্তমানে প্রায় নেই। তোমাকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশী ভালোবাসি। এ কঠিন কথাটি বলার এবং সন্তানের জন্য বাস্তবে করে দেখার দাবীদার একমাত্র মা বাবা, অন্য কেউ নই। ব্যতিক্রম যদি বলি তা হলে লাখে একটা হয়তো পাওয়া যাবে। তথাকথিত প্রেমের এবং পরকীয়ার ক্ষেত্রে অবৈধ ও অনৈতিক দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে গেলে এবং উন্মাদের মত বিকৃত নোংরা সুখের অনুভূতিতে সাধারণত অনেকেই এমন অপ্রিয় কথা বলে। যা বাস্তবে করার ক্ষমতা তাদের নেই। এমন পরিস্থিতি বিচারে ধরে নেবেন। নিশ্চিত ভাবেই তাদের নৈতিক এবং দৈহিক চরিত্রের অধ্বঃপতন অনেক আগে হয়েছে।

Leave a Reply