ব্যাস্ত থাকুন, নিজের কাজ নিয়ে। দশ জনের সাথে সম্পর্কে দশ সমস্যা। ভালো থাকার জন্য নিজের কাজ নিয়ে ব্যাস্ত থাকার কোন বিকল্প নেই। আপনি যদি শুধু মাত্র আপনার, আপনার পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন এবং নিজের কাজ নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন। তবে বেশী সমস্যার মুখোমুখি হবার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। বর্তমান সময়ে এমন একজন মানুষ পাওয়া অতি দুষ্কর, যার সমস্যা নেই। আমরা প্রায় সবাই নিজেদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, আর্থ সামাজিক এবং পেশাগত সমস্যা নিয়ে কম বেশী ব্যাস্ত। তার উপর আছে আত্মীয় স্বজনের দায়বদ্ধতা জনিত সমস্যার চাপ।
এত সব কিছুর পরও সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রক্ষার সুবাদে। আমারা যদি অযাচিত ভাবে আরও সমস্যায় পড়ে যাই। তবে তা হবে নিজের প্রতি অবিচার। এতে করে আমাদের প্রচন্ড রকম মানসিক ও শারীরিক চাপ বাড়বে। নিজের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুকির মুখে পরবে। আমরা আসলে বুঝতে এবং মানতে না চাইলেও। দেহের অভ্যন্তরের মারাত্মক এবং অকাল প্রাণ সংহারী অসুখের জন্য মুলত সমস্যাই দায়ী। অতিরিক্ত খাদ্যাভাস, ফরমালিন ও কীটনাশক দ্বারা দুষণ যুক্ত ফলমুল ও খাদ্য গ্রহণের কারণও আমাদের অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী। তবে তা হলেও এসব বিষয় আমাদের সার্বিক সমস্যাকে অতিক্রম করতে পারেনি।
যাক এসব কথা, এবার মুল প্রসংগে আসি। আগেই বলেছি, আমাদের সবারই কম বেশী সমস্যা আছে। আমার কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা, পেশাগত সমস্যা, কিছু পারিবারিক সমস্যা। সেই সাথে নিকট আত্মীয়ের কিছু সমস্যা আমার উপর অনবরত মানসিক চাপ প্রয়োগ করে চলেছে। সন্দেহাতীত ভাবে এ সব সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে আমাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর মধ্যে যদি আপনি দশ জনের সাথে চলা ফেরার সুবাদে তার সমস্যায় যদি নাক গলানোর চেষ্টা করেন, তো মরেছেন। আপনি নিজের অজান্তে নিজেই নিজের সর্বনাশ ডেকে এনেছেন। যার পরিণতি ভয়াবহ। আপনি ঝামেলা ও সমস্যায় অচিরেই মুখ থুবড়ে পরবেন।
সুতরাং সময় থাকতে কৌশল অবলম্বণ করুন। সবার সমস্যায় নাক গলানোর অভ্যাস পরিহার করুন। অবস্থার কারণে অনেকেই উপদেশ নেয়ার জন্য আপনার দ্বারস্থ হবেন। সমাজে সামাজিক ও আর্থিক সুবিধাবাদী লোকের অভাব নেই। বিচার বুদ্ধির প্রয়োগ করে তাদের এড়িয়ে চলুন। মনে রাখবেন, এদের অধিকাংশই উন্নতির পথ থেকে আপনাকে বিচ্যুত করার জন্য নীল নকশা প্রনয়ন করেছে। এ নকশা ভেস্তে দিয়ে সব দিক থেকে আসা সমস্যা এড়িয়ে চলুন। নিজের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্খ্য ভালো রাখুন। সেই সাথে পরিবার পরিজনদেরও ভালো রাখুন।