সফলতা নই, ব্যর্থতাই মানুষকে মুল্যায়নের আসল মানদন্ড!

সফলতা নই, ব্যর্থতাই মানুষকে মুল্যায়নের আসল মানদন্ড!

সফলতা নই, মানুষকে মুল্যায়ন করতে হবে ব্যর্থতা দিয়ে। কাউকে তার সফলতা দিয়ে বিচার করলে তা আসলে সঠিক বিচার হবে না। কারণ কারও কারও সফলতা শুধু বর্তমানের পরিচয় বহন করে, তার অতীতের নই! আবার সব সফলতার পেছনে যে পরিশ্রম গাঁথা থাকে তাও না। অনেকে উত্তরাধীকার সূত্রেও সফলতা লাভ করে থাকেন। যেখানে, প্রচেষ্টার প্রয়োগ মুল্যহীন। স্বভাব বশে আমরা প্রায় সব সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত, সফল ও বিখ্যাত ব্যক্তিদের উদাহরণ টানি। যেমন উমুক ডাক্তার, তমুক ইন্জিনিয়ার, এর ছেলে বড় ব্যবসায়ী, তার বাবা ব্যাংকার ইত্যাদি ইত্যাদি। যা শুধু মাত্র তাদের বর্তমান অবস্থার চিত্র তুলে ধরে। আর আমরা সেই অবস্থান নিয়ে নাচানাচি করে অস্থির হয়ে পড়ি।

সফলতা নই, ব্যর্থতাই মানুষকে মুল্যায়নের আসল মানদন্ড!

সংসারে যা কিছু ভালো। যা কিছু মঙ্গলময় তা যদি বিনা বাঁধাতে পাওয়া যেত তা হলে, হয়তো সাফল্য শব্দের কোন নামই থাকতো না! একটু ভাবুন তো, একজন মানুষ কি শুধু মাত্রই অর্থ বা ক্ষমতার বলে শিক্ষক, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার হতে পেরেছেন! স্বাভাবিক ভাবে এর উত্তরে আপনি সরাসরি না বলবেন। কারণ প্রতিটি সাফল্যের নেপথ্য গাঁথা ব্যর্থতা দিয়ে। একজন সফল মানুষকে সফলতার শীর্ষে পৌঁছতে গিয়ে কত বার যে হোঁচট খেতে হয়েছে। কত বার যে মুখ থুবড়ে পরে যেতে যেতে উঠে দাঁড়িয়েছে তার শেষ নেই! তার মানে প্রতিটি সফলতা আসলে অসংখ্যা প্রচেষ্টা বা ব্যর্থতার গল্প গাঁথা। যদি তাই হয় তবে বিচারের মাপকাঠি কি ব্যর্থতা নই!

আমরা যে কোন উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য পুরণের জন্য কাজ করি না কেন! সামনে একটা প্রতিবন্ধকতা বা চ্যালেন্জ থাকবেই। এ চ্যালেন্জ বা প্রতিবন্ধকতাই হলো সাফল্যের মুল মন্ত্র এবং একে অতিক্রম করতে পারলেই আমরা সফল। এখানে যার সাপোর্ট, আত্মশক্তি, একাগ্রতা এবং পরিশ্রমী মনোভাব যত বেশী তার সফলতা এর সম্ভাবনা ততো বেশী। যারা জীবন পথে ব্যর্থ হয়েছেন তারাই আবার উদ্দ্যোমী মনোভাব নিয়ে চেষ্টা করেছেন। সুতরাং কাউকে বিচার অথবা মুল্যায়ন করতে হলে তার ব্যর্থতাকে দিয়ে বিচার করা উত্তম, সফলতা দিয়ে নই। একজন মানুষকে সফলতা এর চরম শিখরে পৌঁছতে কতবার ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হয়েছে। সেই অদম্য মানসিকতা ও ইচ্ছা দিয়েই, তার বিচার করা উচিত। 

Leave a Reply